সেলিম সানোয়ার পলাশঃ দেশের এমন বৈশ্বিক দূর্যোগে সবার আর্থিক লোকসানের কথা বিবেচনা করে সকল সরকারী বেসরকারী স্কুলের ৬ মাসের বেতন মওকুফ চেয়ে মানবাধিকার সংস্থা সৃষ্টি হিউম্যান রাইটস এর ভাইস চেয়ারম্যান শাহাদাৎ হোসেন মুন্না নামক এক মানবাধিকার কর্মী তার ফেইসবুকে ষ্ট্যাটাস দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বরাবর এই আবেদন করেন। তার ফেইসবুকের পোষ্টটি সরাসরি তুলে ধরা হলো,
বাংলা আমার হৃদয়ের সুর,
এ নববর্ষে সকল ঘ্লানি হয়ে যাক দূর।
এ স্লোগানে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী “শেখ হাসিনা” আপনার প্রতি বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা রইলো। আপনি আপনার প্রতিটি সিদ্ধান্তে বিচক্ষনতার পরিচয়ে আমাদের এই প্রিয় মাতৃভূমিকে বিশ্বের বুকে একের পর এক সফলতার সাথে যেভাবে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছেন তা শুধু আমাদের গর্বের বিষয় নয়। বহির্বিশ্বে একজন সৎ, সাহসী ও বিচক্ষন জননেত্রী হিসেবে সত্যিই প্রশংসনীয়। যা আমাদের কল্পনারও উর্ধে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনার জন্য হৃদয়ের গহীন থেকে ধন্যবাদ ও শুভ কামনা মনের আঁড়ালেও চলে আসে। কারণ আপনি আমাদের জন্য যা ভাবেন এবং করেন তা আামদের চাহিদার আগেই পূরণ হয়ে যায়। একটা বিষয়ে আপনার কাছে বর্তমান পরিস্থিতিতে পরামর্শ হিসেবে উপস্থাপন করার খুবই ইচ্ছে হলো। হয়তো আমার এই পরামর্শের বহু আগে আপনি এটা কল্পনা করে রেখেছেন। হয়তোবা আপনি চেয়েছেন জনগন এই ব্যাপারটা আপনার দৃষ্টি আকর্ষন করে কিনা।
রাজধানী ঢাকাতে অধিকাংশ অফিস আদালত হওয়ায় আমাদের কর্ম জীবনের জন্য রাজধানীতে আসা। কিন্তু আমাদের চাকরী জীবনে যে বেতন পেয়ে থাকি। তার প্রায় ৭০ ভাগ বেতন আমাদের বাসা ভাড়া বাচ্চাদের স্কুলের বেতনে দিতে চলে যায়। বাকি ৩০ ভাগ দিয়ে আমাদের খাওয়া-দাওয়া,চিকিৎসা এবং যাতায়াত বাবদ ব্যায়ে খুবই কষ্ট সাধ্য হয়ে উঠে। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে যদি সকল সরকারী বেসরকারী স্কুলের বাচ্চাদের স্কুলের অন্তত ৬ মাসের বেতন মওকুফ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত করে দেন।তাহলে এই প্রেক্ষাপটে আমাদের জীবন যাপনে সহজ হবে। আশা করি আপনি আপনার বিচক্ষন সিদ্ধান্তে আমাদের জন্য এই সুযোগ দানে আমাদের জীবন যাপনে সাহায্য করবেন।
আপনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা রইলো।